প্রজেক্ট
কার্যক্রমসমূহ
রক্তদাতার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো তার দানকৃত রক্তে গ্রহীতার জীবন বেঁচে যাওয়া। অন্যের প্রান বাঁচানোর চেষ্টা থেকে বড় মহৎ কাজ কোনটিই হতে পারেনা।
আমাদের সবচেয়ে আনন্দের বিষয়টি হলো আমাদের দেশে প্রায় ০.৯৪শতাংশ মানুষ সেচ্ছায় রক্ত দান করেন।এর পরেও বছরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। এটি ১.৫ শতাংশে উন্নিত করতে পারলে কোন মানুষ রক্তের অভাবে মারা যাবে না।
আমাদের বর্তমান অবস্থায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হলো ব্লাড দাতাদের সাথে সঠিক সময়ে যোগাযোগ স্থাপন করা। এই সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে সেবা ফাউন্ডেশন আপস এবং সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করিতেছে। এ আপস ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় রক্ত নিজেই ব্যবস্থা করতে পারবে।উপজেলা /থানা ভিত্তিক ডোনারদের তথ্য প্রধান করে, যে কোন সময়ে যে কোন স্থানের ডোনারদের সহজেই খুঁজে নিতে পারে।
রক্ত দানে উপকারিতা
নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বছরে দুইবার রক্ত দেয়, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পরিলক্ষিত হয়। নিয়মিত রক্তদান উচ্চরক্তচাপ কমায়। শেষ কথা, রক্তদাতার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো তার দানকৃত রক্তে গ্রহীতার জীবন বেঁচে যাওয়া।
১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী যে কোনো সুস্থ মানুষ, যাদের ওজন ৪৫ কেজির বেশি তারাই রক্ত দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষের শরীরে অতিরিক্ত দেড় লিটার রক্ত থাকে। একশত বিশ দিন পর এই রক্তকণা ভেঙে যায়। অর্থাৎ এ রক্ত কোনো কাজে আসে না। তাই সুস্থ মানুষ নিয়মিত চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারে। রক্তদানের মাধ্যমে শরীরে এইডস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস-বি ও সি-সহ সংক্রামক কোনো ঘাতক ব্যাধি রয়েছে কি না, তা বিনা খরচে জানা যায়।
থ্যালাসেমিয়া
থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত/ জীনগত রোগ। থ্যালাসেমিয়া মেজর এ যারা আক্রান্ত হয় তাদের প্রতি মাসে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়,এর অন্য কোন বিকল্প নেই। এটি যেহেতু একটি জীনগত রোগ, সেক্ষেত্রে ১জন সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে পরবর্তী সন্তানেরও থ্যালাসেমিয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীকে ছেড়ে যায়। তখন মায়ের পক্ষে সন্তানকে বাচিয়ে রাখা অনেক কঠিন হয়ে পরে।
থ্যালাসেমিয়া রোগের কারন.
থ্যালাসেমিয়া রোগ হওয়ার জন্য মা এবং বাবা সমান ভাবে দায়ী। থ্যালাসেমিয়া রোগটি মুলত এ রোগের বাহকের কাছ থেকে হয়ে থাকে।বাহক বলতে বুঝানো হয়, সে থ্যালাসেমিয়া রোগী নয়, কিন্তু সে যদি অন্য কোন বাহককে বিবাহ করে তাহলে তাদের ২জনের সন্তানের ২৫% থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।হৃতিক রোশন, জিনোদান জীদান এ রোগের বাহক।১জন বাহক হলে কোন সমস্যা নেই, তবে ২জনই বাহক হলে তাদের সন্তানের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি নিজেকে বিয়ের আগে পরিক্ষা করে নেই, যে আমি বাহক কিনা, আবার আমি বাহক হলে স্ত্রী /স্বামী বাহক কিনা পরিক্ষা করিয়ে নিলে সম্পুর্ন থ্যালাসেমিয়া মুক্ত থাকা সম্ভব।