থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত/ জীনগত রোগ। থ্যালাসেমিয়া মেজর এ যারা আক্রান্ত হয় তাদের প্রতি মাসে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, আবার বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা নিতে হয়। এটি যেহেতু একটি জীনগত রোগ, সেক্ষেত্রে ১জন সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে পরবর্তী সন্তানেরও থ্যালাসেমিয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীকে ছেড়ে যায়। তখন মায়ের পক্ষে সন্তানকে বাচিয়ে রাখা অনেক কঠিন হয়ে পরে।
থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে:
১. আলফা থ্যালাসেমিয়া: হিমোগ্লোবিনে আলফা গ্লোবিন চেইন তৈরিতে ত্রুটি থাকে।
২. বিটা থ্যালাসেমিয়া: হিমোগ্লোবিনে বিটা গ্লোবিন চেইন তৈরিতে ত্রুটি থাকে।
এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে যদি উভয় পিতামাতার মধ্যে থ্যালাসেমিয়ার জেন থাকে, তবে এ কারণে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।

প্রতিরোধ :
সে সকল মানুষের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া জেন রয়েছে, তাদের থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার বা বাহক বলে।তারা থ্যালাসেমিয়ার রোগী নয়, বা শারিরীক কোন সমস্যা দেখা দেয় না কিন্তু হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ স্বাভাবিক এর থেকে একটু কম থাকে। সে ক্ষেত্রে যদি কেউ জীবনে একবার হলেও রক্তদান করেন সে হিমোগ্লোবিন পরিমান জানতে পারেন। স্বাভাবিক এর থেকে রক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

যদি স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজন বাহক হয় তাদের ক্ষেত্রে ১০০% সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণ করবে।
যদি কেউ রক্তদান না করেন তাদের জন্য বিবাহের পূর্বে যদি থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং করে বিবাহ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব

সেবা ফাউন্ডেশন থ্যালাসেমিয়া নিয়ে পদক্ষেপ :
বাংলাদেশে যারা থ্যালাসেমিয়া মেজর এ ভুগতেছে তাদেরকে আপসের মাধ্যমে ডাটা সংগৃহ করা। দেশের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করে তাদের জন্য, সরকারি, বেসরকারি সাহায্য নিশ্চিত করা এবং তাদের চিকিৎসায় সহায়তা করা।
থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে মানুষকে সঠিক তথ্য প্রদান করে এবং সচেতনতা তৈরি করে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত দেশ গড়তে চাই।

Related Posts

Post a comment

Your email address will not be published.